Monday 18 August 2014

গুমসুম রিকিসুম

গুমসুম রিকিসুম

Share on Facebook0Share on Google+0Share on LinkedIn0Share on TumblrTweet about this on Twitter0
IMG_2371এক
শেয়ারের জিপে আমার পাশের ভদ্রলোক আদতে হরিয়ানভি। যখন জানতে পারলাম, নিজের কপালকে অশেষ ধন্যবাদ! এই জায়গাটার নাম কী, কালিম্পং নেমেই সোয়েটার পরতে হবে কিনা, ড্রাইভারের লুকিং গ্লাসের সঙ্গে প্যাঁচ খাইয়ে রাখা ওই হলুদ কাপড়ের টুকরোটা কেন, এইরকম সতেরোটা অশিক্ষিত প্রশ্নের পর আমার অষ্টাদশ প্রশ্ন ছিল, আপনাকে ঠিক নেপালি মনে হচ্ছে না। কোন রাজ্যের লোক বলুন তো মশাই?
ওরে বাবা, হরিয়ানা যে তীখী বোলির জন্যে কুখ্যাত! কড়ক চায়ের মতো কড়কে দেওয়া কথা। “তা ইয়ে…আপনাকে যেটুকু শুনলাম…”, রাস্তার ডানপাশে যে খাদ, ভদ্রলোক গলার স্বর তার তলদেশে নামিয়ে দিলেন — আমি তো হরিয়ানা নয়, থাকি পশ্চিমবঙ্গে। আদমিকো বদলনা পড়তা হ্যায়।
ডানদিকে ঝুঁকে শকটচালকের অবলোকন-আরশিতে নিজের শ্রীমুখ ধরার চেষ্টা করছি তখন। এই অপদার্থ ঘাড়ত্যাঁড়া ভ্রমণকামুকের কানে কি গেল কথাগুলো?
দুই
জিপের ফ্রন্ট গ্লাসে লাল রঙে শিবমূর্তি আঁকা, নিচে টাটকা হলুদ জবাফুল, এক দুই তিন…ছ’খানা। এবার তাকেই জিগ্যেস, রিকিসুম কেমন জায়গা গো? খুব ভালো সিনিক বিউটি শুনেছি! চেনা হাতে স্টিয়ারিং ঘোরাতে ঘোরাতে অন্যমনস্ক মনে ড্রাইভারসাব বলেন, ঠিক হ্যায়। এরপর যতবার প্রশ্নটা রেখেছি পেডংয়ের বিডিও অফিসকর্মীকে, অলগড়া-র স্টেশনারি দোকানদারকে, অথবা রিশি-র ইকো ট্যুরিজম সেন্টারের মালবাহককে, জুলুক কেমন স্পট? পদমচেন? লুংটুং? নিজেদের কাজ় থেকে এক মুহূর্ত চমকে না উঠে তারা জবাব দিয়েছে হাঁ, ঠিক হ্যায়…ঠিকই তো হ্যায়… ওহ ভী ঠিক হ্যায়।
ফলে, প্রথম সতর্কতা হিসেবে দেখা দেয় বাঁশঝাড়, যে তুমি মাটি ছাড়িয়ে উঠেছ, বাপু। পিঠের ব্যাগে থানইঁট সাইজের বাঙালি আবেগ নিয়ে চড়াই ভাঙা মুশকিল। সত্যিই দেখতে পাই, আমার পুরনো ব্যাহত পৃথিবী, যে জলে আমি মৎস্যজীবী সেই জল, আমার অন্তঃঘুমে চিৎকার, সব নিচে নেমে যাচ্ছে। “রব্বা, তু ইতনা বতা দে…” গাইতে থাকে মিউজিক সিস্টেম — আমি আবার অনুভব করি, পাহাড়ি রাস্তার ঠান্ডা বাতাস আর বিরহ, স্থির পাইনবন আর বুক ভেঙে যাওয়ার কান্না কি ভীষণ যায় একে অন্যের সঙ্গে! প্রকৃতির ময়ূরডাক ঠোঁট দিয়ে বালিমাটি সরিয়ে জাগিয়ে তুলছে জীবনের মহত্তম ধ্বংসগুলো।
IMG_2326
তিন
উঠতে উঠতে গুঞ্জন বাড়বে, পাহাড়ের। চূড়া সাধারণত চূড়ার সঙ্গে কথা বলে। “সেই লোকটা আবার এসেছে, বুঝলে?” শুনে কানের ভেতরে একটা অপূর্ব! তাহলে পানিট্যাঙ্কি মোড় থেকে কালিম্পং — আড়াই ঘন্টা লম্বা এক-পংক্তির এই দীর্ঘ কবিতা পাঠক হিসেবে আমাকে অচেনা ভাবছে না! আমার পিঠ থেকে মুছে গেছে পোড়া শহরের ছাইদাগ? আহহ!
এভাবে ওপরে উঠে যাবে সময়, ভাঙা প্রেম নিজেকে ভাঙ্গা কাচের মধ্যে ফেলে যব তক হ্যায় জাঁ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখবে। কবিতার কমা ও ডট ডট ধরে মানুষও ওঠা-নামা করছে, আর আমি দেখি, যত উচ্চতা বাড়ে, তাদের হাঁটা-চলা, চোখ, কথার দৃষ্টি বদলে যায়ই। মুখের রেখায় আরোহণ করে চুপিসাড়। আর জিপের ড্যাশবোর্ডের ওপর সেই ছ’টা হলুদ জবাও আস্তে আস্তে রোদে কাহিল।
চার
রাস্তা অলগড়া থেকে লাভা চলে গেল, মাঝপথে রিকিসুম-কে নামিয়ে দিয়ে। কিন্তু কী দিয়েছে হাতে, যাতে বাকি জীবন সে সুখে কাটায়? সামনে কুয়াশার বোরখাপরা একমুঠো পাহাড়, পেছনে পাইনঅরণ্য। যেন সারসার উড পেনসিলের মাথায় পেনসিলেই আঁকা এক টুকরো মেঘ। নেমে পড়লে মনে হবে, এখানে তোমার তো কোনও আত্মীয় নেই! এই ভাবনা একই সঙ্গে স্বাধীনতার সাহস আর একটা পিছুটানের জন্ম দেবে। রঙিন ধ্বজা টাঙানো রাস্তার সিঁড়ি বেয়ে উঠি, পিঠের রুকস্যাকের বড় বড় শ্বাস টের পাই, কিন্তু ঘরের পর ঘর শ্যামকল্যাণ হয়ে আছে, মানুষ কোথায়? তারপর দেখা গেল উঁচুতে গোলাপ-ঝুন্ডের পাশে মানুষহরিণ-হরিণা। দৌড়ে এসে তারা কাঠের গৃহস্থালির দরজা খুলে দিচ্ছে। রিকিসুমের এই হোমস্টে-র হোম থেকে যদি নিচে একটু বেশি ছুটে যাওয়া যায় আর ব্রেক ঠিক না বসে সময় মতো, তবে তোমার এতদিনের মুখাবয়ব সাক্ষী, মাঝের শুধু একফালি পিচরাস্তা আলাদা করে রেখেছে বিকেলের ভ্রমণ থেকে রাতের দুঃস্বপ্নকে।
রাতে পতপত করে ডাকে ধ্বজার বাতাস…পুরনো নাটমঞ্চের ছাদের ফোকর থেকে পায়রা উড়ছে বা জোড়ের অংশে অবরোহ-তান নামাচ্ছে সরোদ-আঙুল। যেন ধুতি আর উত্তরীয়তে, শাড়ি আর ঘোমটায় আমার পূর্বপুরুষ ও পূর্বনারী আলোচনায় বসেছেন লম্বা ডাঁটির ভঁওরা ফুলের পাশে। যে তাদের সন্তানটি কেমন বেঘর, বাপে তাড়ানো মায়ে খ্যাদানো হয়ে পড়ল শুধু নিজের দোষে, ভুল শেয়ারে টাকা ঢেলে সর্বস্ব হারাল। কেমন জিন-পরীতেই বা আক্রান্ত হল, স্কুলের দিদিমণি না রাজ্য সরকারের করণিক, ছাড়িয়ে না দিলে সে তো আর ক’দিনেই মরে যাবে, কিন্তু পরীর হাত থেকে বাঁচাতে গেলে সেই পরীমুক্তিপথে এ-ছেলের হৃদপিণ্ডটিও ছিঁড়ে বেরিয়ে যায় কিনা……এসব নিয়ে তাদের সারা রাতের পতপত!
পাঁচ
গরম জলে চা-পাতা আর চিনি মিশিয়ে সামান্য দুধ ঢেলে যেমন চা নির্মাণ, ঠিক সেইরকম “পাহাড়ে উঠছো” সেই গরম জল। সূর্য লগ-অন লগ-আউটের প্যানোরামা সেই চা-পাতা। আর পাইন-জঙ্গল যদি তোমার পৌনে এক চামচ চিনি হয়, ভালো-মন্দ রাস্তা দুধ না লিকার নিজেই ঠিক করো।
তো, কাঠের বোঝা মাথায় ডাউন ট্রেন কপালে উড়ো চুল আর গোলাপি গাম্ভীর্য নিয়ে পাশ দিয়ে নেমে যাচ্ছে, এই নীরবতায় তার ফুসফুসের কু-ঝিকঝিক কানে আসে। আমি হলাম আপ রিকিসুম ভিউপয়েন্ট প্যাসেঞ্জার, ডেস্টিনেশানে পৌঁছনো নয়, মুহূর্তে মুহূর্তে অবাক হওয়াই যার পেশা, হাতের সিগন্যাল-এ রানিং ট্রেন দাঁড় করিয়ে তার গাছ-পালামণ্ডিত ছবি তুলে নিতে থাকি। বাহ, কী হাওয়া দিচ্ছে…আরেহ, শেষে বিকেলের রোদও উঠে গেল যে…ইশ, আবার কুয়াশা…এই করতে করতে চোটিতে পৌঁছে ১৯০২-এ করা ব্রিটিশদের বাংলোবাড়ির ধ্বংস ছড়ানো। শুধু মূল ফটকের মাঝখানে দুধারে কামড়-লাগা আপেলসিঁড়ি, তার দুপাশের দেয়ালে কী মিষ্টি বুনোফুল। কিন্তু শূন্যে তাকালে পাহাড়ের ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ানের পর দ্বিতীয় তৃতীয় কিছু নেই, এবং সর্ব-পেছনে কমান্ডার কাঞ্চনজঙ্ঘা যুদ্ধ ছেড়ে পালিয়েছেন সন্দেহ হয়।
আচ্ছা, চুড়োকে রিপ্লেস করেছে যে আবছায়া, দধির অগ্র, যদি সেখানে ঝাঁপিয়ে দিই — আমার শেষ না-হওয়া কবিতা আর তিনটে এল.আই.সি. ম্যাচিওর করানো এই লাফ কুয়াশাতন্তু কি ট্রাপিজের দড়ি হয়ে ধরে ফেলবে না? আদরে আদরে নিলম্বিত করে রাখবে না এই বুক জলকণার জটিলতার ফাঁকে ফাঁকে! আমার যে কড়াই কড়াই মন-খারাপে জ্বাল পড়েছে শৈশব থেকে, প্রেম থেকে, কোনও দার্শনিক সত্যই মনোমতো না হওয়ার বিরক্তি আর “মৃত্যু এক অবাস্তব দুঃস্বপ্ন” এই লাইনটায় কেউ ‘লাইক’ না-দেওয়ার হতাশা থেকে……সমস্ত যদি আমি তোমার মধ্যে ভাসিয়ে দিই, ও-পদ্ধতিগত শিশির, সারাদিন ঘর্মাক্ত ভ্রমণের শেষে জুতো খুলে রাখার মতো যদি তোমার হ্যাঙারে টাঙাই আমার ফুসফুসজোড়া, ছুঁড়ে ফেলে দেবে না তো?
প্যালেটে হলুদের সঙ্গে গোলাপি মিশিয়ে দেখতে চেয়েছি জলরঙে বারবার। আসে না। আসলে বিশ্বাস করে না আমার সমতল হাতদুটোকে — ধান্দাবাজ, চড়াই উঠতে হাঁপানো, নামতে ঘেমে যাওয়া হাতসকল। আর ওঠা-নামার মধ্যেই যাদের জীবন, তাদের বিয়েতে দুই সাক্ষী, মেঘ-পাহাড়। মাথায় অল্প অল্প সামান, ছোট্ট সূর্যাস্ত-সংকুল রাস্তায় গাড়ি-গাড়ি মুখোমুখি হলে অবশ্যম্ভাবী খিস্তি না দিয়ে সেলাম ঠোকে! গান আর ফুলগাছ এদের দুই শাখা, নীরবতা প্রধান কার্যালয়, আর পাবলিশারের নাম হাসি। আপনাকে সেইটুকুই ঠকাবে যা দুটো ভুট্টার দানা এনে দ্যায়। দারু প্রায় “২৪ ঘন্টা”, অথচ শ্লীলতাহানির “আনন্দ” না জানা মানুষ!
তোমার আছে পাহাড় আর আমার পাথরের জ্ঞান। কীভাবে ছোঁব! তোমার পাইন-শতাব্দী আর মাত্র মিউটেশান পদ্ধতি আমার। এখানে প্রকৃতি চরম টাকাপয়সাওলা, বনেদী, অফুরন্ত; অথচ তার পাশে থাকা মানুষ শিশুর মতো গরীব! আবার শিশুর মতোই কষ্টবোধহীন, ভোরবেলা দোকান খুলে বসলাম…রোদ গেল, বৃষ্টি এল, মেঘ কাটল, থাকল কুয়াশা। নবদ্বীপে সাইকেল-রিকশায় ঘুরছি একবার ভাঙা রাসের দিন, গৌড়ীয় মঠের মন্দির-চাতালে শুয়ে-এলিয়ে থাকা পাগল-খ্যাপাটে-অসুস্থ-বৃদ্ধা এই চার বর্ণের ভিখিরি দেখে মুখ থেকে বেরিয়ে গেছিল, কৃষ্ণভজনা করে এরা এ-কেমন অভিশপ্ত জীবন পেল! রিকশাওলা ঘাড় ফিরিয়েছে তৎক্ষণাৎ, বাবু, এইটি ভুল বললেন। কৃষ্ণ পাবে যে, তার অর্থ থাকবে না। চালচুলো থাকবে না। যার প্রতিপত্তি, তার কৃষ্ণ নাই!
ছয়
ব্রেকফাস্ট টিশার্ট প’রে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি ছিল, আমার দিকে মুচকি হেসে রোদ নামিয়ে দিয়ে মেঘ চলে গেছিল লাভা-র দিকে। এর মধ্যে হঠাৎ রাস্তার অর্ধেকটা ভেঙে ধসে তলিয়ে গেছে বড় কংক্রিট স্ল্যাব-খসা খাদের দিকে। লাল-নীল জলের পাইপ, কেবল তার…মাটির নিচে তাদের গোপন বেডরুম উন্মোচিত। যেটুকু সময় বেশি পাওয়া, পায়চারি করছি ভাঙা পথের ধুলোয় আর অ্যাপ্রিসিয়েশান কুড়োচ্ছে ফুলের মধ্যে যারা অনুসূচিত জনজাতি, পাহাড়-ফুটপাথের পাইপ-ফাটা জলে মানুষ হয়।
জানি তো, এই উচ্চতা আমার জন্যে নয়। এই ঠন্ডক — যেন যে-কোনও তরকারিতে কুচি করে ছড়ানো স্প্রিং আনিয়ন — পার হয়ে সমতলে পা রাখা মাত্র আমার মন আবার গ্রিন গবলিন হয়ে যাবে।
তো, এখনও পর্যন্ত সব চমৎকার, সাত হাজার পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি হাইটে চোখদুটো থাকায় যা দেখছে — হেলেনীয়, এমন সময় তুমি চূড়া থেকে নেমে আসছিলে। তুমি সে নও, যে “আবেগ আমাকে ছোঁয় না” বলে বুকে হিম লাগিয়ে দিয়েছে, সে — যার মুখে হলুদ আর গোলাপি গুলতে গিয়ে রঙ গুলিয়ে ফেলতাম বারবার, যেহেতু একগোছা উডপেনসিল-সম পাইনগুচ্ছ রাখতে পারিনি প্যালেটের পাশে, বাতাসে ওড়া নীল-মেরুন-সাদা ধ্বজাও যে ছিল না আঁকঘরের দরজায়।
IMG_2364
আমি আবার জিগেস করেছি, ছবি তুলব? “হ্যাঁ”, মা যেমন সন্তানে সহজ। হাঁটতে হাঁটতে তাকে বলি এক সহকর্মীর কথা, অনেক বছর আগে ডুয়ার্সে চাকরিতে বদলি হয়ে এসে পেয়েছিলাম। জানি না সে কোথায় এখন।
মেয়েটি বলে, এই রিকিসুমেও অনেক মানুষ ভিড় করে, সবাই যে খারাপ তা তো নয়। বলে যায় আবার আসব, আসবই…কিন্তু এতো ট্যুরিস্ট স্পট পাহাড়ে…হয়তো সেটাই আমাদের দোষ, কারও আর আগের জায়গাটিতে ফিরে আসা হয় না। তার মুখে জোনাকির মতো কয়েকটা তিল, খরলোহিত, জ্বলছে নিভছে; দুটো টানা চোখের অধঃরেখা ঢেকে দিয়েছে ওপরের পাতা ভারি নেমে এসে। খুব সাধারণ একটা চুড়িদারের ডান কাঁধে টুকি খেলছে গাঢ় নীল ব্রেসিয়ারের ফিতে।
উড়ে যাওয়ার আগে যেমন নাটমঞ্চের পায়রা, পাখায় একটা মোচড় দেয় সে। গলার ভেতর থেকে হাসি টেনে আনে — কিছু করার নেই এখানে, কিন্তু মিস করার আছে, যেমন আপনার বন্ধু প্রকাশ তামাংকে আপনি আজও খোঁজেন, তেমনি হয়তো আমিও কাউকে…না ফিরে আসুক কোনওদিন…মিস তো কর সকতি হুঁ, না!
সাত
শীর্ষের পায়ের কাছে গড়িয়ে জড়ো হতে হতে আমি বুঝে যাই, সহিষ্ণুতা আর বিরহভোগ মিলে এতো সুন্দর করেছে উচ্চতাকে, চির-শীতঋতুকে। হয়তো সমতলে নেমে গেলে এবার পুরোটা-অবসাদ নাও হয়ে যেতে পারি। তুমি মেসেজের নিরুত্তর দাও কি ফোন না ধরো বা দেখা না করো আর…যদি সত্যিই না আসে ‘দেখা’! মন অসাড় হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে মেয়েটির গলা পৃথিবীতে পাই আবার, প্রাইমারি স্কুলের ম্যাডাম যেমন বলেছেন, “আমার সঙ্গে পড়ো”। বুকে আইসক্রিম-শ্বাস টেনে নিয়ে গোটা গোটা উচ্চারণ করিঃ ফিরভি… মিস তো কর সকতা হুঁ, না!
http://thecommentator.in/2014/08/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AE-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AE/

No comments:

Post a Comment